শব্দজাল by রবিন জামাল খান

শব্দজাল by রবিন জামাল খান

শব্দজাল 
রবিন জামাল খান 
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার 

বর্ষবরণের রাতে পুরো ঢাকা শহর সেজেউঠেছে ,সকলেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নিজের মত মেতে উঠেছে।
কিন্তু হঠাৎ ই সেচ্ছায় অবসর নেওয়া প্রফেসর  জাকারিয়া আহমেদ এর (যিনি আবার প্রফেসর জ্যাক নামে পরিচিত) কাছে তার বন্ধু পিবিএসআই এর প্রধান আতিকুর আলমের ফোন আসে, যে বন্ধুকে প্রফেসর আজ বিগত কয়েক মাস ধরে একটা অমীমাংসিত বন্ধ হয়ে যাওয়া ফাইলের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করছিল,কিন্তু সে সর্বদাই এড়িয়ে যাচ্ছিলো, আজ সেই  তার  হেল্প চাইছে এই ঢাকা শহরকে এবং তাদের কে বাঁচাতে এমনকি এই সমস্যা মিটে গালে তাকে তার ঈপ্সিত ফাইল টা দেওয়া হবে এই প্রতিশ্রুতিও করে। প্রফেসর তার বাড়ির সদস্যদের (তার সহকারী ও তার ফ্যামিলি) ঢাকা থেকে দুরে পাঠিয়ে নিজে পিবিএসআই এর দপ্তরে রওনা দিলেন পথে যেতে যেতে এবং দপ্তরে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন যে আন্তর্জাতিক কুখ্যাত অপরাধী আব্দুল্লাহ আল ফাত্তাহ ওরফে আলবার্ট ফাত্তাহ, (যাকে ডাকা হয় ডেমোলিশন এক্সপার্ট বা মাস্টার ডি নামে) নিতান্ত আকস্মিক ভাবে ঢাকা এয়ারপোর্টে ধরা পড়ে এবং তার সনাক্ত করন হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের আইন প্রনোয়নকারী সংস্থার চাপ ও ইন্টারপোলের কাছে তাকে হস্তান্তর করতে হবে এই অবস্থাতে আলবার্ট ফাত্তাহ জানায় তাকে ইন্টারপোলের হাতে না দিয়ে যেন ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তার বদলে সে বলেদেবে যে সে ঢাকাতে দুটো বোমা প্লান্ট করেছে তা বলে দেবে যদি তা না হয় তো আগামীকাল ঢাকা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এই মতো অবস্থাতে পিবিএসআই এর প্রধান তার বন্ধু প্রফেসরের হেল্প চায় যে করেই হোক আলবার্টএর কাছ থেকে বোমাদুটোর সঠিক অবস্থান জানতে হবে তাও আজ রাতের মধ্যে , কিন্তু  তাকে মুক্তি দেওয়া যাবে না এবং তার উপর শারীরিক নির্যাতন বা কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে কোনো লাভ হবে না যেহেতু আলবার্ট ফাত্তাহ উপর আগে এমন কিছু শারীরিক অত্যাচার হয়েছে যে তার শরীরের বেশিরভাগ নার্ভ ই কাজ করেনা।
এখন প্রফেসরকে তার সাথে কথা বলে তার কাছ থেকে সব জানতে হবে। এরপর ইন্টারোগেশন রুমে শুরু  হয় প্রফেসর ও আলবার্ট ফাত্তাহ র কথোপকথন , যাতে কখনো প্রফেসর আলবার্টএর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে আবার কখনো আলবার্ট প্রফেসরের উপর, এই কতপকথনে উঠে আসে আলবার্টএর অতীত কেন সে আজ এই পথে কিন্তু সময়ে চলে যায় কিন্তু যার জন্য এতকিছু তা প্রফেসর জানতে পারেনা। অবশেষে প্রফেসরের কাছে আলবার্ট মানসিক ভাবে পরাস্থ হয় এবং বোমা দুটোর অবস্থান ও নিস্ক্রিয়র পদ্ধতি বলে। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলেও প্রফেসরের মনে হয় কোথাও কিছু একটা মিলছে না আর অনুসন্ধানে জানা যায় আলবার্ট সব কিছু জেনেই নিজের ইচ্ছায় সব বলেছে কিন্তু আসলে সে তিনটে বোমা রেখেছিল এবং তার একটা এখনো আছে, এর পর কি হবে প্রফেসর কি আবার সফল হতে পারবে না? তা জানতে বই টা পড়তে হবে। 
খুব সুন্দর ভাব বইটি লেখা হয়েছে, এত সুন্দর ভাব গল্পটা পরিবেশন করা যে বই টা শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যাবেনা, প্রফেসর আর আলবার্ট এর কথোপকথন তা এমন ভাবে লেখক লিখেছে মনে মনে বই পড়ছি না নিজে চোখে দেখছি বোঝা যায়না।
পরের পার্ট টা পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। 

Post a Comment

0 Comments