অবাক পাঠশালা - উল্লাস মল্লিক
উল্লাস মল্লিক নামটা যখন প্রথমবার শুনেছিলাম, ভেবেছিলাম এটা হয়তো কারোর ছদ্মনাম। আসল নাম ভিন্ন। নামটাই বেশ মজার।
পরে তাঁর লেখার সাথে পরিচিত হয়ে মনে হলো তার লেখাও তার নামের মতোই। এই শেষ করলাম তার লেখা আনন্দনভেলা - অবাক পাঠশালা।
গল্প এক চোর কে নিয়ে যার নাম বিশু। তার বন্ধু চিন্ময় বা চিন্টুকে, ঝুমাকে নিয়ে। গল্প তাদের শিক্ষক দ্বিজবাবু কে নিয়ে। তাঁর বন্ধু অমলেন্দুকে নিয়ে। এভাবে বিভিন্ন ঘটনার কোলাজ সাজিয়েছেন তিনি। এবং খুবই নির্মোহ ভঙ্গিতে লেখা এই গল্পে কোত্থাও বোর হওয়ার জায়গা নেই।
শুরুতে দেখা যায় পাড়ায় চোর ধরা পড়ে। আর বেধড়ক মার খায়। সেই পাড়ায় থাকতেন দ্বিজবাবু,অমলেন্দুরা। তারা বেরিয়ে আসেন। নিজেদের মধ্যে নিন্দা করেন এই অমানুষিক হাঁটুরে মারের। তারপর যেই চোরের প্রাণ যায় যায় অবস্থা, চোর-পিটুনির উৎসাহে ভাটা পড়ে৷ তখন সেই চোরকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন দ্বিজবাবু। তার সামান্য সেবা করেন ও পরে ছেড়ে দেন।
কালক্রমে জানতে পারেন ওই চোর, বিশু, তারই প্রাক্তন ছাত্র। তারপর তার সন্তানের জীবনে ঘটা বিভিন্ন ঘটায়, প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে পড়ে তার শিক্ষক সত্ত্বা। তিনি কি আদৌ সঠিক শিক্ষা দিতে পেরেছিলেন? নইলে কেন তার সন্তান অসৎ কাজের মধ্যে জড়িয়ে পড়লো? কোথায় তার ফাঁক ছিলো? যে ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়েছিলো অশিক্ষার বিষবাষ্প!
পড়ে ফেলাই যায় উল্লাস মল্লিকের লেখা অবাক পাঠশালা।
কিছুদিন আগেই তার গল্পের গাধা পড়লাম। তারপর এই উপন্যাসটি।
তার লেখার ধরণ কিন্তু প্রাইমটাইমের শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের কথা মনে করিয়ে দেবে। অনেক বার আমারও সেটা মনে হয়েছে। কিন্তু প্রচারবিমুখ এই লেখক বড়ো ভালো লেখেন!
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।