দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো (বিখ্যাত হতে আসিনি, শুধু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি) - হিরো আলম

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো (বিখ্যাত হতে আসিনি, শুধু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি) - হিরো আলম

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো (বিখ্যাত হতে আসিনি, শুধু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি) - হিরো আলম


'হিরো' আলম বললে মাথায় কী আসে? একটা বিচ্ছিরি দেখতে ছেলে নিজেকে বিশাল বড়ো হিরো ভেবে কার্টুনের মতো নাচ গান করে - তাই তো? এই ইমেজটা আমাদের মাথায় আসলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা মানুষকে না চিনেই তাই আমরা খিল্লির বানে ভেসে গেছি।
যদি ভাবেন আমি হিরো আলমের ফ্যান, ভুল ভাববেন। যদি ভাবেন আমি নিজেকে মহৎ করে দেখাচ্ছি, ভুল ভাববেন। আমি শুধু এই নোংরা, বস্তাপচা রোস্টিং কালচারের বিরুদ্ধে - যেখানে মানুষ অন্যকে ছোটো করে, অপমান করে পয়সা রোজগার করতে চায়।
আসলে আলম একটা অন্য মানুষ। যে ছেলেটা ক্লাস থ্রি তে পড়তে বাবার হাতে মার খেয়ে মা এর হাত ধরে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়, স্কুলের আগে ও পরে হকারি করে একটু একটু করে টাকা জমায় মা এর জন্য, লোকের হাতে মার খেয়েও বারবার সেই লোকগুলোরই বিপদে সাহায্য করতে যায়, পদে পদে অকারণে অপমানিত হয়েও বয়স্ক মানুষদের নিয়ে পিকিনিক করতে যায়, দিনের শেষে টাকা জমায় বুড়োবুড়ি, নিপিড়িতা মা-বৌ দের জন্য - সেই লোকটা আলম।
এই রিভিউটা বইটার জন্য নয়, মানুষটার জন্য লেখা। যে রোস্টিং কালচার আজকের দিনে সস্তা গালি আর লোককে অপমান ছাড়া কিছুই না, সেখানে এই বইটা সেই সব অপমানের একটা যোগ্য উত্তর।
চোখে আঙুল দিয়ে এই বইটা দেখিয়ে দেয় যে কেউ আপনাকে তার ভিডিও দেখতে বাধ্য করেনি, অনুরোধও করেনি। আপনি নিজেই দেখেছেন, নিজেই তাকে ভাইরাল করেছেন, আবার আপনিই তাকে দেখে মুখ বেঁকিয়েছেন। কী অধিকার আছে আমাদের কাউকে নিয়ে কিচ্ছু না জেনে তাকে অকথ্য অপমান করার? আপনার তো কোনো ক্ষতি সে করেনি, তাহলে আপনি কেন তাকে অপমান করা হলে হাততালি দিয়ে ওঠেন?

বইটা আলমের ছোট্ট জীবনী। নিজে লেখেননি, উনি বলেছেন, প্রকাশক লিখেছেন। আমার বলতে এতটুকু বাধে না যে অমন মানুষ হতে গেলে বুকের পাটায় দম লাগে। নিজের ঘরের জৌলিশে লুকিয়ে অন্যকে অপমান করতে গেলে সেই দম লাগে না। যদি হাতে এক ঘন্টা সময় থাকে বইটা পড়ে দেখতে পারেন। একটু হলেও দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যেতেও পারে।

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো (বিখ্যাত হতে আসিনি, শুধু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি)
-হিরো আলম

'হিরো' আলম বললে মাথায় কী আসে? একটা বিচ্ছিরি দেখতে ছেলে নিজেকে বিশাল বড়ো হিরো ভেবে কার্টুনের মতো নাচ গান করে - তাই তো? এই ইমেজটা আমাদের মাথায় আসলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা মানুষকে না চিনেই তাই আমরা খিল্লির বানে ভেসে গেছি।
যদি ভাবেন আমি হিরো আলমের ফ্যান, ভুল ভাববেন। যদি ভাবেন আমি নিজেকে মহৎ করে দেখাচ্ছি, তাহলেও ভুল ভাববেন। আমি শুধু এই নোংরা, বস্তাপচা রোস্টিং কালচারের বিরুদ্ধে - যেখানে মানুষ অন্যকে ছোটো করে, অপমান করে পয়সা রোজগার করতে চায়।
আসলে আলম একটা অন্যরকম মানুষ। যে ছেলেটা ক্লাস থ্রি তে পড়তে বাবার হাতে মার খেয়ে মা এর হাত ধরে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়, স্কুলের আগে ও পরে হকারি করে একটু একটু করে টাকা জমায় মা এর জন্য, লোকের হাতে মার খেয়েও বারবার সেই লোকগুলোরই বিপদে সাহায্য করতে যায়, পদে পদে অকারণে অপমানিত হয়েও বয়স্ক মানুষদের নিয়ে পিকিনিক করতে যায়, দিনের শেষে টাকা জমায় বুড়োবুড়ি, নিপিড়িতা মা-বৌ দের জন্য - সেই লোকটা আলম।
এই রিভিউটা বইটার জন্য নয়, মানুষটার জন্য লেখা। যে রোস্টিং কালচার আজকের দিনে সস্তা গালি আর লোককে অপমান ছাড়া কিছুই না, সেখানে এই বইটা সেই সব অপমানের একটা যোগ্য উত্তর।
চোখে আঙুল দিয়ে এই বইটা দেখিয়ে দেয় যে কেউ আপনাকে তার ভিডিও দেখতে বাধ্য করেনি, অনুরোধও করেনি। আপনি নিজেই দেখেছেন, নিজেই তাকে ভাইরাল করেছেন, আবার আপনিই তাকে দেখে মুখ বেঁকিয়েছেন। কী অধিকার আছে আমাদের কাউকে নিয়ে কিচ্ছু না জেনে তাকে অকথ্য অপমান করার? আপনার তো কোনো ক্ষতি সে করেনি, তাহলে আপনি কেন তাকে অপমান করা হলে হাততালি দিয়ে ওঠেন?

বইটা আলমের ছোট্ট জীবনী। নিজে লেখেননি, উনি বলেছেন, প্রকাশক লিখেছেন। আমার বলতে এতটুকু বাধে না যে অমন মানুষ হতে গেলে বুকের পাটায় দম লাগে। নিজের ঘরের জৌলুশে লুকিয়ে অন্যকে অপমান করতে গেলে সেই দম লাগে না। যদি হাতে এক ঘন্টা সময় থাকে বইটা পড়ে দেখতে পারেন। একটু হলেও দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যেতেও পারে।
রেটিং : এমন বইয়ের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক

রিভিউটি লিখেছেনঃ তিতাস

Post a Comment

0 Comments