বই: ক্লিওপেট্রা
লেখক: হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড
অনুবাদ: সায়েম সোলায়মান
প্রকাশনা: সেবা প্রকাশনী
ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে একটু বিশদভাবে জানার জন্যই পড়তে শুরু করেছিলাম বইটি। প্রেম, জিঘাংসা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতিশোধের যেন এক অভূতপূর্ব উপাখ্যান এটি।
মিশরের একটি শহরের কোন একটি পুরাতন মন্দিরের নিচ থেকে একটি লাশের সাথে উদ্ধার করা হয় তিনটি প্রচীন প্যাপিরাস খন্ড। সেই লাশটি হারমাচিসের এবং প্যাপিরাস খন্ডগুলো তারই লিখে রেখে যাওয়া জীবনকাহিনী।
হারমাচিসের জবানীতেই এর পরে পুরো কাহিনী এগুতে থাকে। মিশরের প্রাচীন রাজরক্ত নিয়ে জন্ম নেয়া হারমাচিসকে বিদ্রোহীরা তাদের ফারাও হিসেবে নির্বাচন করে। সেই পরিকল্পনা হাসিল করতে হারমাচিস গুপ্ত পরিচয় নিয়ে প্রসাদে ঢুকে পরে মিশরের বর্তমান রানী ক্লিওপেট্রাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। কিন্তু কোন পুরুষের পক্ষেই রহস্যময়ী সৌন্দর্যের রানী ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করা সহজ নয়!
দিন দিন ক্লিওপেট্রার অভূতপূর্ব সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে হারমাচিস নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু ক্লিওপেট্রাকেই ভালোবেসে ফেলে। এদিকে হারমাচিসকে ভালোবেসে ক্লিওপেট্রার সবচেয়ে বিশ্বস্ত দাসী অনিন্দ্য সুন্দরী চারমিওন। চারমিওন নিজেও বিদ্রোহীদের একজন গুপ্তচর এবং হারমাচিসের সহকারী। অন্যদিকে সে হারমাচিসের আপন চাচাতো বোন। ত্রিকোণ প্রেমের জটিলতা নিয়ে এগুতে থাকে কাহিনী।
হারমাচিস উত্তরাধিকার সূত্রে এবাউদিস মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং তার শরীরে বইছে মিশরের প্রাচীন রাজরক্ত। নারী, প্রেম, কামনা, বাসনা এসব কিছু থেকেই দূরে থাকার কথা তার।
একদিকে ক্লিওপেট্রার প্রতি প্রবল প্রেম অন্যদিকে তার এত বছরের সাধনা এবং মিশরের স্বাধীনতা কোনটাকে গুরুত্ব দেবে হারমাচিস?
এর পরে বহু উত্থান-পতন পেরিয়ে হারমাচিসের পরিণতি জানতে হলে নির্দ্বিধায় পড়ে ফেলতে পারেন সেবা প্রকাশনীর চমৎকার এই অনুবাদটি। সময়টা মন্দ কাটবে না বইটির সাথে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ জয় দে
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।