বইঃ সূর্যতামসী
লেখকঃ কৌশিক মজুমদার
প্রকাশনাঃ বুকফার্ম, জুন ২০২০
রহস্য উপন্যাস অবলম্বনে কলকাতার গড়ে উঠার ইতিহাস। কাহিনীর চরিত্রদের প্রয়োজনে গবেষক লেখক গল্প বলেছেন চন্দননগর তথা হুগলি জেলার ওলন্দাজ উপনিবেশের শুরুর কথা। কাহিনীর বিস্তার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শেষ থেকে ২০১৮ সাল। বংশপরম্পরায় বিস্তৃত এই রহস্য কাহিনী যার সূত্রপাত বড়লাট ল্যান্সডাউনের কার্যকাল থেকে ২০১৮ সাল অবধি। রহস্যের জাল নির্মাণে মুন্সিয়ানার ছাপ আছে। কিন্তু পাঠক হিসেবে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে কলকাতার গড়ে উঠার সুসংহত বিবরণ। পাঠকের চোখের সামনে গড়ে উঠেছে লালবাজার, হগ মার্কেট, ফ্রী স্কুলের সাহেব পাড়া, কলকাতা রাজভবনের নির্মাণ, মেডিক্যাল কলেজ, রেসকোর্স, চীনা বাজার, বৌবাজার সহ বিভিন্ন এলাকা। আবার একই সঙ্গে চন্দননগর চুঁচুড়া কে এঁকেছেন বৃটিশ উপনিবৈশিকতার প্রভাব এড়িয়ে। কলকাতার তিনশ বছরের বিবর্তনের ছবি নির্মাণ করতে লেখক প্রায় শতাধিক যেসব বিখ্যাত বই, গবেষণা পত্র, সংবাদপত্র, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রকাশনীর সাহায্য নিয়েছেন তার নাম উৎসাহী পাঠক কাহিনীর পরিশিষ্টে পাবেন। তবে এই কাহিনীতে বাদ পড়েছে কলকাতার ট্রাম বাস শিয়ালদহ স্টেশন এবং অর্বাচীন টিভি ও বয়স তুলনায় নবীন ফেসবুক। তবে গুগলের নাম শেষ পর্যায়ে একবার পাওয়া গেছে।
পরিশেষে সূর্যতামসী নামের শব্দার্থ সংসদের বাংলা অভিধানে খুঁজতে গিয়ে হতাশ হয়ে বুঝলাম তমস অর্থে তমসাচ্ছন্ন বা তামসিক বা অন্ধকার এবং (তামসি) স্ত্রী বাচক শব্দ। সবমিলিয়ে অনুমান হয় যে সভ্যতার সময় পঞ্জিকা রাতের চেয়েও অন্ধকার!?
ভালো লাগবে অন্য যেসব বর্ণপরিচয়ের সদস্য বন্ধুরা এই বইটি পড়েছেন তাঁরা যদি আলোকপাত করেন।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।