বসবাস
মন্দাক্রান্তা সেন
অন্তরে জায়গা করে নিল বইটি বোধহয় চিরকালের জন্য।
যশোধরা, অমর, তাদের ছেলে, মেয়ে শ্রীতমা ,শ্রীরূপ, শশুর ও শাশুড়ি সরোজিনী ও নিরেন এই হল এই পরিবারের মুখ্য সদস্য। এদের নিয়েই গল্পের বিস্তার।
গল্পটি ভালো লাগার প্রথম ও প্রধান কারণ হল এই সকল চরিত্রের মাধ্যমে একটি ছেলে ও মেয়ে র একদম ছোটো থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত সকল স্তরের জীবনধর্ম, অনুভূতি পরিবর্তন, বড় হয়ে ওঠা ধাপে ধাপে নিখুঁত ভাবে লেখিকা তার ক্যানভাসে এঁকেছেন, পড়তে পড়তে প্রত্যেকে নিজেকে খুঁজে পাবেন চরিত্রের মধ্যে.. যশোধরার মধ্যে দিয়ে সমাজে বহু দিনের চলে আসা আচার বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসলে লেখিকা আমাদের মনে সেই প্রশ্ন গুলি সঞ্চালন করেন। "পূর্ব পুরুষ" ই কেন বলা হয়.. কেন "পূর্ব নারী" বলা হয় না? যুগ এর পর যুগ ধরে নারী দের বহমান রক্তেই পরবর্তী প্রজন্মের আগমন....
লেখিকার অসম্ভব সুন্দর লেখনী তে আপনি পড়তে পড়তে বিভোর হবেন... মাঝে অনেক পৃষ্ঠা ও একদম শেষ পর্যায়ে পৌছোনোর পর আপনার ভিতরে অপেক্ষা করে থাকবে এক অন্য পৃথিবী...
ধন্যবাদ..
রিভিউটি লিখেছেনঃ Riya
বসবাস
মন্দাক্রাতা সেন
এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র যশোধরা। একইসঙ্গে তিনি একজন মা, স্ত্রী, বৌমা, দিদি। দশভূজা হয়ে সব দিক সামলেছেন। তিনি শিক্ষিত বাস্তববাদী একজন নারী। তবুও কোথাও গিয়ে দেখা যায় নিজের পরিবারে ঘটে চলা পরিবর্তনের সাথে তিনি মানিয়ে উঠতে পারেন না। যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর ছেলে বিয়ে করতে চায় বয়সে বড় নিজের শিক্ষিকাকে, এছাড়াও যখন তিনি জানতে পারেন তার আদরের কন্যা প্রেমে পড়েছে একজন মুসলিম যুবকের.. তখন তিনি প্রচন্ড ধাক্কা পান। তার এই সেকেলে চিন্তাধারায় জট ছাড়ায় তার স্বামী।
এই উপন্যাসটি তে দেখা গেছে নানান সম্পর্কের টানাপোড়ন। যশোধরার সাথে তাঁর শ্বশুর শাশুড়ির ভালোবাসা ঘৃণা। এই উপন্যাস পড়তে পড়তে কখনো আনন্দে চোখে জল এসেছে আবার কখনো কষ্টে চোখ ভিজেছে। এই উপন্যাসে সবকিছু আছে প্রেম, বিরহ, অশ্রু ও আনন্দ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।