উপন্যাস_ বোতামঘর
লেখক_স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
Year 2022
এই বছর পড়লাম লেখক স্মরণজিৎ এর লেখা বোতাম ঘর উপন্যাসটি।
ও পড়ে ঠিক করে ফেললাম একটা রিভিউ লিখবো।
আপনারা যারা এই লেখক এর বুক পড়েছেন তারা সকলেই জানেন যে প্রতি বছর উনি একটি দুর্দান্ত প্রেমের উপন্যাস লেখেন। আলোচ্য উপন্যাস টি তার ব্যতিক্রম না।
বইটি শেষ করে উঠে এক অপার ভালোবাসায় মনটি ভরে গেলো।
বইটি দুটি পর্ব নিয়ে লেখা।
একটি পর্ব ১৯৮৩ সাল এ।
ও দ্বিতীয় পর্ব টি ২০২২ সালে।
এবার আসা যাক কাহিনী প্রসঙ্গে।
গল্পে শুরুতে আমরা দেখতে পাই মুসাফির নামক চরিএ টি কে রে নিজের বাবার দোকানে সেলাই এর কাজ করে ও ছোট্ট ছোট্ট ছিদ্র করে নিপুন হাতে বোতামঘর তৈরি করে।
সেখান থেকে ১৯৮৩ সালের পটভূমিতে দেখতে পাই দুটি ভাইকে তারা দুজন লেক এর ধারে বেড়াতে এসেছে। একজন সৌর ও অপরজন জুলু। তাদের লেখক বলেছেন ব্যাটম্যান ও রবিন বলে তারা একে অপরের পাশে সারাজীবন থাকবে।
এর পর দেখা যায় ছয় বছর পরের ঘটনা যেখানে আমাদের উপন্যাস এর দুই নায়ক বড়ো হয়েছে। একজন তখন প্রতিষ্ঠিত ও অপর জন উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। আমাদের গল্পের নায়ক এখানে জুলু যে ভালোবাসে ওপালিকা কে কিন্তু ওপালিকা জুলু কে ভালোবাসে না।
সে তখনকার সমেয়ের চেয়ে যথেষ্ট আধুনিকা। যে ভালবাসা বলতে বোঝে শুধু শরীর। শরীর এর ভালোবাসা শেষ টো সেই ছেলের প্রতি তার ভালোবাসা শেষ। এমন এক মেয়ের প্রতি ভালোবেসে সে অবহেলা করে আমাদের গল্পের নায়িকা বেলা কে।
যে একজন উড়নচণ্ডী টাইপ এর মেয়ে যে কিট পতঙ্গ ভালোবাসে। ভালোবাসে ছোটো ছোটো মিনি কনস্ট্রাকশন বানাতে আর ভালোবাসে জুলুকে।
অপরদিকে বেলাকে ভালোবাসে এক আশ্চর্য চরিত্র বুচা যে কথা বেশি বলে ও সব সময় হাসিখুশি দিল দরিয়া টাইপের একজন চরিত্র।
অপরদিকে সৌর তে সমাজে তে একজন নামজাদা । সব কিছু টে সফল ।
পাড়ার সব কিছু টে সবাই তাকে ডেকে।সবাই চাই তার মতো হতে।
এই দেখে তার সাথে গায়ে পড়ে বিবাহের পস্তাব নিয়ে যায় গুন্ডাদা যে একজন প্রকৃত অর্থে সমাজ সেবি হিসাবে পরিচয় দিলে ও একজন ক্রিমিনাল ছাড়া কিছু না।সৌর সম্মতি ছাড়া তার সঙ্গে তার বোনের বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলে।
এই ভাবে গল্প এগিয়ে চলে এবং কিছু পড় আসে নতুন এক চরিত্র লুনাদিদি যে রাশিয়া থেকে আসে তার স্বামী মারা গেছে। ও ছোটো একটি মেয়ে সন্তান। আর আছে কিছু চরিত্র যারা উপন্যাস এর প্রয়োজনে এসেছে।
তাদের মধ্যে আলোজেঠু ।
তে তাদের বাড়িতে আশ্রিত বেলার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ও তাকে অন্যায় ভাবে কাছে পেতে চায়।
১৯৮৩ ক্রিকেট পরিবেশে উপন্যাস এ এগিয়ে চলে।
বেলা যেমন দুলুকে ভালোবাসে
তেমন জুলু ওপার প্রতি।
ভালোবাসার এক টানা পরণ
ও নিজের ভালোবাসার মানুষ কে না পাওয়ার কষ্ট।
এখানে একসাথে চারটি চরিত্র পাশাপাশি একে অপরকে ভালোবাসে।
কে তার ভালোবাসার মানুষ কে পায়।
আর কে হারিয়ে ফেলে।
তাছাড়া প্রথম পর্বের শেষে সৌর মারা যায়? কি করে মারা যায় সৌর কেন মারা গেল সৌর কে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো।
আর কেন রবীন ব্যাটম্যান পাশে থাকলো না? কেন জুলু নিজেকে অপরাধী মনে করলো আর কি এমন করলো তে সে নিজেকে অপরাধী ভাবছে।
এইসব জানতে চাইলে আমাদের পড়ে দেখতে হবে এই বছর শারদীয়া আনন্দ বাজার এ প্রকাশিত এক দুর্দান্ত উপন্যাস বোতামঘর।
রেটিং _ আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই উপন্যাস কে ১০ এর মধ্যে ১০ দেবো।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।