দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট
আলেক্সিস মিখাইলিডেস
একটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া লাশ। একটা রাইফেল। দুহাতের কব্জি কাটা একটা নির্বাক মানুষ। চারিদিকে রক্ত আর মাংস।
প্রচন্ড গরম। একটা ছোট ঘর। একটা পোর্টেবল ফ্যান। একজন শিল্পীর স্টুডিও। সেখানে একটা ছবি, আর ছবির নীচে তার ক্যাপশন- আলসেষ্টিস ! শিল্পী (নাকি খুনি!)শুধু এটুকুই বলেছেন। পুরো পৃথিবীকে এই একটা মাধ্যমের মাধ্যমেই তাঁর যাবতীয় বক্তব্য জানিয়েছেন। এরপর তাঁর মুখ থেকে কেউ কোনোদিন কোনো কথা , নিদেনপক্ষে একটা অভিব্যক্তিও দেখেনি।
একটা ছোট ঘর। একটা টেবিল। দুদিকে দুটো চেয়ার। মুখোমুখি দুজন মানুষ। এদের মধ্যে একজন রোগী, আরেকজন তাঁর থেরাপিস্ট। একজন বলে যাবেন, আর একজন শুধু শুনবেন। তারপর এনালাইসিস করবেন। তারপর তিনি রোগীর মানসিক অসুস্থতার মূল জায়গাটা ধরবেন। সময়ের সাথে সেটার ক্ষত সরিয়ে দেবেন।
দুটো সময় সরণি, পাশাপাশি। দুটো মানুষের জীবন। সমান্তরাল কিন্তু কোথাও গিয়ে বাঁক নিয়ে মিলে গেল একটা বিন্দুতে। বলা ভালো ক্র্শ করলো একে ।
বই পড়ার অভ্যাস চলে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে। মনের মধ্যে অজানা একটি দুঃখ কাজ করছিল। আসলে কিন্ডল ডিভাইসটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া গেলোনা। তারপর হঠাৎই খুঁজে পেলাম ডিভাইসটি। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এই বইটার সাজেশন। দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট। তারপর থেকে কদিন কেমন একটা ঘোরের মধ্যে কেটে গেল।
এই কাহিনী একজন জীবনের ধাক্কায় নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া পেসেন্টের। এই কাহিনী তাকে সুস্থ করে তোলার একজন নাছোড়বান্দা সাইকোথেরাপিস্টের। এই কাহিনী ভরসা করার। এই কাহিনী ভরসা হারানোর। সব খুনের জন্য বন্দুক বা ছোরাছুরি লাগেনা। মানুষের একটা বাক্য ,কিংবা একটা ব্যবহার একটা জীবন্ত মানুষকে দগ্ধে দগ্ধে মেরে ফেলতে পারে। এই কাহিনী তার জীবন্ত দলিল। এর বেশি বললে স্পয়লার হয়ে যাবে।
এক কথায় আনপুটডাউনেবল একটা বই। আমার রেটিং 9.5/10।
যারা ক্রাইম/মিস্ট্রী/সাইকোথ্রিলার পড়তে পছন্দ করেন, তাদের অবশ্য পাঠ্য একটা বই।
আলেক্সিস মিখাইলিডেস
একটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া লাশ। একটা রাইফেল। দুহাতের কব্জি কাটা একটা নির্বাক মানুষ। চারিদিকে রক্ত আর মাংস।
প্রচন্ড গরম। একটা ছোট ঘর। একটা পোর্টেবল ফ্যান। একজন শিল্পীর স্টুডিও। সেখানে একটা ছবি, আর ছবির নীচে তার ক্যাপশন- আলসেষ্টিস ! শিল্পী (নাকি খুনি!)শুধু এটুকুই বলেছেন। পুরো পৃথিবীকে এই একটা মাধ্যমের মাধ্যমেই তাঁর যাবতীয় বক্তব্য জানিয়েছেন। এরপর তাঁর মুখ থেকে কেউ কোনোদিন কোনো কথা , নিদেনপক্ষে একটা অভিব্যক্তিও দেখেনি।
একটা ছোট ঘর। একটা টেবিল। দুদিকে দুটো চেয়ার। মুখোমুখি দুজন মানুষ। এদের মধ্যে একজন রোগী, আরেকজন তাঁর থেরাপিস্ট। একজন বলে যাবেন, আর একজন শুধু শুনবেন। তারপর এনালাইসিস করবেন। তারপর তিনি রোগীর মানসিক অসুস্থতার মূল জায়গাটা ধরবেন। সময়ের সাথে সেটার ক্ষত সরিয়ে দেবেন।
দুটো সময় সরণি, পাশাপাশি। দুটো মানুষের জীবন। সমান্তরাল কিন্তু কোথাও গিয়ে বাঁক নিয়ে মিলে গেল একটা বিন্দুতে। বলা ভালো ক্র্শ করলো একে ।
বই পড়ার অভ্যাস চলে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে। মনের মধ্যে অজানা একটি দুঃখ কাজ করছিল। আসলে কিন্ডল ডিভাইসটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া গেলোনা। তারপর হঠাৎই খুঁজে পেলাম ডিভাইসটি। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এই বইটার সাজেশন। দ্য সাইলেন্ট পেশেন্ট। তারপর থেকে কদিন কেমন একটা ঘোরের মধ্যে কেটে গেল।
এই কাহিনী একজন জীবনের ধাক্কায় নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া পেসেন্টের। এই কাহিনী তাকে সুস্থ করে তোলার একজন নাছোড়বান্দা সাইকোথেরাপিস্টের। এই কাহিনী ভরসা করার। এই কাহিনী ভরসা হারানোর। সব খুনের জন্য বন্দুক বা ছোরাছুরি লাগেনা। মানুষের একটা বাক্য ,কিংবা একটা ব্যবহার একটা জীবন্ত মানুষকে দগ্ধে দগ্ধে মেরে ফেলতে পারে। এই কাহিনী তার জীবন্ত দলিল। এর বেশি বললে স্পয়লার হয়ে যাবে।
এক কথায় আনপুটডাউনেবল একটা বই। আমার রেটিং 9.5/10।
যারা ক্রাইম/মিস্ট্রী/সাইকোথ্রিলার পড়তে পছন্দ করেন, তাদের অবশ্য পাঠ্য একটা বই।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।