শয়তানের সন্তান || সৈকত মুখোপাধ্যায় Saytaner Shantan Review & pdf

শয়তানের সন্তান || সৈকত মুখোপাধ্যায় Saytaner Shantan Review & pdf

বইয়ের নাম_ শয়তানের সন্তান
লেখক_ সৈকত মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনী_ পত্রভারতী
মূল্য_২৯৯ টাকা
জনরা_ ডার্ক ফ্যান্টাসি, থ্রিলার


লেখক এর এই বুক টি টে ২ টি উপন্যাস আছে সে গুলি হলো শয়তানের সন্তান, পতঙ্গ সঙ্গম
এই দুটি বই এক মলাটে ২০২১ সাল এ প্রকাশিত হয় 

ডার্ক ফ্যান্টাসি জিনিস টা একপ্রকার যেমন টানটান তেমন উত্তেজনা পূর্বক কল্পিত ঘটনা যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। শয়তানের উপাসনা করার পরিণীতি কি ভয়ানক হতে পারে সেটা আলোচ্য বই টি টে জানতে পারবো

কাহিনীর সূত্রপাত জোসেফ রুদ্রণাথ এক্কা কে দিয়ে।যার বয়স ২১  যে একজন সমাজের চোখ এ জারজ সন্তান। রঘুনাথ নাথ পূরের একটা অনাথ আশ্রম এ বড়ো হয়ে ওঠে যেটা চালায় পুরুলিয়া লুথেরান মিশন।সেই মিশন এর নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছর পূরণ হলে তাদের অনাথ আশ্রম ট্যাগ করতে হয়।হঠাৎ কুষ্ট হয় তার
পায়ের আঙুল গুটিয়ে যায়।
এর পর কি করবে টা নিয়ে সে দিসে হারা।সেই সময় অচেনা এক বিরাজ কাপালি তাকে কাজ দেবে বলে লোক পাঠায়।তাকে কাজের জন্য কলকাতা বেলেঘাটা টে আসতে বলে। সেই কাজ এর জন্য রওনা দিলে ঘটনার সূত্র পাত।যেখানে সে কাজ পায় তার নাম হলো 'bavarie porcelain industry ১৯৪৯'  আর সেখানে তার পরিচয় হয় অদ্ভুত কিছু চরিত্র সাথে যেমন হাসি মণ্ডল, পঙ্কজ মিদ্দা,বিশাখা, কাহিনী যতো এগোতে থাকে রুদ্রনাথ জানতে পারে এরা কেউ মানুষ না।
কেউ জমবি তো কেউ উলফ মানুষ
তো কেউ শয়তানের রক্ষিতা।ঘটনা ক্রমে হাসির কাছ থেকে রুদ্রনাথ জানতে পারে সাবাথ এর সময় লুসিফার এর সঙ্গে বছর এ দুই বার মিলন করে ও শয়তানের কাছ থেকে সন্তান পাই সেটা হয় দুই পূর্ণিমায়।

এদিকে বিরাজ কাপালি সাথে দেখা করতে গেলে সে জানতে পারে সোমেশ্বর কাপালি জটাকেশী ফার্মাসি বন্ধ করে স্টিভেন মেয়র ও ইভা স্টাইনবেক এর সাথে এক পার্টনার শিপ করে যারা ছিলো দুজনে ডেভিল ওয়ার্শিপার ( শয়তানের উপাসক) যারা একটি প্রোগ্রাম এর সমার্থক যেটা লেবেন্সেবর্ন প্রোগ্রাম নামে খ্যাত।
যেটা চালু করেন হাইনরিক হিমলার ও ডক্টর গ্রেগর এবনার। এটি একটি খাঁটি আর্য সন্তান প্রসব করানোর প্রোজেক্ট যা লেবেন্স বর্ন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। এর দ্বারা শয়তান কে আহ্বান করে সন্তান লাভ করা হয়।

কি সেই চক্রান্ত কিসের জন্য এতো গোপনীয় প্রোগ্রাম আর কিসের জন্য সেই চক্রান্ত আর তারা শয়তান কে দিয়ে কি এমন কাজ করাতে চায় যার দ্বারা সমস্ত মানব সমাজের ক্ষতি
কে এই বিরাজ কাপালি? কে এই হাসিদী পঙ্কজ দা? কে এই স্টিভেন মেয়ার ও ইভা স্টাইন বেক আর কি তাদের চক্রান্ত। এই সব জানতে হলে আমাদের পড়ে দেখতে হবে সৈকত মুখোপাধ্যায় এর লেখা' শয়তানের সন্তান'
টানটান উত্তেজনা দুর্দান্ত প্লট আর একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করার পর মনে শান্তি আসে না এমন দুর্দান্ত লেখনী।এক অসাধারন ডার্ক ফ্যান্টাসি শয়তানের সন্তান।

রেটিং_ ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ১০ এর মধ্যে ৯.৫ দেবো

review 
বইয়ের নাম_ শয়তানের সন্তান
লেখক_ সৈকত মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনী_ পত্রভারতী
মূল্য_২৯৯ টাকা
জনরা_ ডার্ক ফ্যান্টাসি, থ্রিলার

লেখক এর এই বইটিতে ২ টি উপন্যাস আছে সে গুলি হলো শয়তানের সন্তান, পতঙ্গ সঙ্গম।
এই দুটি বই এক মলাটে ২০২১ সাল এ প্রকাশিত হয় 

ডার্ক ফ্যান্টাসি জিনিসটা এক প্রকার যেমন টানটান তেমন উত্তেজনা পূর্বক কল্পিত ঘটনা যা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। শয়তানের উপাসনা করার পরিণীতি কি ভয়ানক হতে পারে সেটা আলোচ্য বই টি টে জানতে পারবো

কাহিনীর সূত্রপাত জোসেফ রুদ্রণাথ এক্কা কে দিয়ে। যার বয়স ২১  যে একজন সমাজের চোখ এ জারজ সন্তান। রঘুনাথ নাথ পূরের একটা অনাথ আশ্রম এ বড়ো হয়ে ওঠে যেটা চালায় পুরুলিয়া লুথেরান মিশন।সেই মিশন এর নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছর পূরণ হলে তাদের অনাথ আশ্রম ট্যাগ করতে হয়।হঠাৎ কুষ্ট হয় তার
পায়ের আঙুল গুটিয়ে যায়।
এর পর কি করবে টা নিয়ে সে দিসে হারা।সেই সময় অচেনা এক বিরাজ কাপালি তাকে কাজ দেবে বলে লোক পাঠায়।তাকে কাজের জন্য কলকাতা বেলেঘাটা টে আসতে বলে। সেই কাজ এর জন্য রওনা দিলে ঘটনার সূত্র পাত।যেখানে সে কাজ পায় তার নাম হলো 'bavarie porcelain industry ১৯৪৯'  আর সেখানে তার পরিচয় হয় অদ্ভুত কিছু চরিত্র সাথে যেমন হাসি মণ্ডল, পঙ্কজ মিদ্দা,বিশাখা, কাহিনী যতো এগোতে থাকে রুদ্রনাথ জানতে পারে এরা কেউ মানুষ না।

কেউ জমবি তো কেউ উলফ মানুষ
তো কেউ শয়তানের রক্ষিতা। ঘটনা ক্রমে হাসির কাছ থেকে রুদ্রনাথ জানতে পারে সাবাথ এর সময় লুসিফার এর সঙ্গে বছর এ দুই বার মিলন করে ও শয়তানের কাছ থেকে সন্তান পাই সেটা হয় দুই পূর্ণিমায়।

এদিকে বিরাজ কাপালি সাথে দেখা করতে গেলে সে জানতে পারে সোমেশ্বর কাপালি জটাকেশী ফার্মাসি বন্ধ করে স্টিভেন মেয়র ও ইভা স্টাইনবেক এর সাথে এক পার্টনার শিপ করে যারা ছিলো দুজনে ডেভিল ওয়ার্শিপার (শয়তানের উপাসক) যারা একটি প্রোগ্রাম এর সমার্থক যেটা লেবেন্সেবর্ন প্রোগ্রাম নামে খ্যাত।
যেটা চালু করেন হাইনরিক হিমলার ও ডক্টর গ্রেগর এবনার। এটি একটি খাঁটি আর্য সন্তান প্রসব করানোর প্রোজেক্ট যা লেবেন্স বর্ন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। এর দ্বারা শয়তান কে আহ্বান করে সন্তান লাভ করা হয়।

কি সেই চক্রান্ত কিসের জন্য এতো গোপনীয় প্রোগ্রাম আর কিসের জন্য সেই চক্রান্ত আর তারা শয়তান কে দিয়ে কি এমন কাজ করাতে চায় যার দ্বারা সমস্ত মানব সমাজের ক্ষতি
কে এই বিরাজ কাপালি? কে এই হাসিদী পঙ্কজ দা? কে এই স্টিভেন মেয়ার ও ইভা স্টাইন বেক আর কি তাদের চক্রান্ত। এই সব জানতে হলে আমাদের পড়ে দেখতে হবে সৈকত মুখোপাধ্যায় এর লেখা ' শয়তানের সন্তান'
টানটান উত্তেজনা দুর্দান্ত প্লট আর একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করার পর মনে শান্তি আসে না এমন দুর্দান্ত লেখনী।এক অসাধারন ডার্ক ফ্যান্টাসি শয়তানের সন্তান।

রেটিং_ ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ১০ এর মধ্যে ৯.৫ দেবো

রিভিউটি লিখেছেনঃ Bapon Da

শয়তানের সন্তান 
লেখক: সৈকত মুখোপাধ্যায় 
বইটিতে দুটি উপন্যাস, ১, শয়তানের সন্তান, যার নাম বইটির নাম, এবং ২. পতঙ্গ সঙ্গম। দুটি গল্পেই সৈকত মুখোপাধ্যায়ের ডার্ক জঁর সিগনেচার মজুদ, যার সাথে আমার পরিচয় ওনার ইয়ামন গল্পের মাধ্যমে। 
শয়তানের সন্তান গল্পের নায়ক, রুদ্রনাথ একা একজন অনাথ (নাকি আপাত অনাথ বলব?) । একটা অদ্‌ভুত কাজ জুটে পেয়ে সে বেরোয় অনাথাশ্রমের গন্ডি পেরিয়ে, গিয়ে হাজির হয় এক পরিত্যক্ত কারখানার চৌহদ্দিতে। তার সাথে কিছু সঙ্গীসাথী জোটে, তাদের সবাই কি মানুষ? কারখানার মালিক বিরাজ কাপালি কেনই বা বেছে বেছে কয়েকজনকে জোগাড় করছেন একটা কাজের জন্য? এই নিয়েই মসৃন গতিতে গল্পটি এগিয়ে চলে, এরপরে কি হবে খানিকটা আন্দাজ করা গেলেও পড়ার মজা কমেনা তাতে। 
লেখক ভূমিকায় বলেছেন যে "পতঙ্গ সঙ্গম উপন্যাসটির উপযুক্ত জুড়িদার না পাওয়ার কারণেই সংকলনটি প্রকাশ করতে দেরি হল। সেটা যে কতদূর সত্যি কথা তা বোঝা যায় লেখাটি পড়তে পড়তে। ভাগ্যবিড়ম্বিত এক মেয়ে তিতলি তার জীবনের অন্যতম কঠিন সময়ে হঠাৎ লক্ষ্য করে ছোট্ট একটা নীল রঙের পোকা কেমন করে ওর থেকে চেহারায় বড় আরশোলাদের প্রায় সম্মোহন করে যেদিকে চায় যেতে বাধ্য করতে পারে। সেই ঘটনা তিতলিকে চিনতে সাহায্য করে পরজীবিদের অলৌকিক জগৎ। শেখায় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়েও কিভাবে নির্মম দুনিয়ার চোখে চোখ রেখে বাঁচতে হয়। অসম্ভব মেধাবী তিতলি পরজীবীদের বিজ্ঞান আয়ত্ত করার সাথে সাথে আত্মস্থ করে তাদের জীবনদর্শন। অত্যাধুনিক জিন প্রযুক্তির জ্ঞান তার হাতে তুলে দেয় ঈশ্বরের মতো ক্ষমতা। তিতলি হতে পারতো বিজ্ঞানের জগতে মস্তবড় এক নাম, যদি সে শৈশবের অন্ধকার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারতো। লেখাটির পরতে পরতে বাঁক তিতলির সাথে পাঠককেও এক অজানা যাত্রায় নিয়ে যায় বইটি পড়াকালীন। পরজীবীদের সম্পর্কে যা বলা আছে সত্যি মিথ্যে বিচার করার জ্ঞান আমার নেই, কিন্তু যদি সব মিথ্যেও হয় তবুও লেখকের কল্পনাকে কুর্নিশ না করে উপায় নেই। 
মোট কথা, যারা অন্ধকারের গল্প ভালোবাসেন, পড়ে দেখতে পারেন বইটি। হতাশ হবেন না। 

রিভিউটি লিখেছেনঃ Jagannath Basu


এছাড়াও সকল লেখকদের তালিকা একনজরে দেখুন এখানে

Post a Comment

0 Comments