রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি || মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন Rabindranath Ekhane Kakhano Asenni pdf & Review

রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি || মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন Rabindranath Ekhane Kakhano Asenni pdf & Review

বই : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি
লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন 

সত্যি বলতে ভালো লেগেছে আগেরটার মতো ফিলিং পাইনি, অথবা হতে পারে এক্সপেকটেশনটা একটু বেশিই হয়ে গেছিল। প্রথম ২০০ পেজ তো কিছুই নেই বলতে গেলে। টার্ন অ্যান্ড টুইস্ট ভালোই আছে, ছোটো ছোটো অধ্যায়ে ভাগ করা, আগের চরিত্রদের সঙ্গে নতুন কয়েকটা চরিত্র যোগ হয়েছে, তবে আগের মতো থ্রিল নাই আবার একদমই নাই তাও বলছি না। মুসকান জুবেরী প্রথম থেকেই মনোযোগ আকর্ষণ করে ছিল, নুরে ছফা ক্যারেক্টারটা আরো স্ট্রং হতে পারতো। মানুষের শরীরের কোন অঙ্গটি খেলে যৌবন ধরে রাখা যায় জানার আগ্রহ হচ্ছিল খুউউউউব। প্রচ্ছদ দেখে আমার মতো অনেকেরই কৌতূহল জাগবে দুজন নারী মূর্তি কেন? কিন্তু জানতে গেলে বইটা পড়তেই হবে।

আরো একটি রিভিউঃ
 বই : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি
লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন 
ব্যোমকেশের দুষ্টচক্রের পর, বাংলা সাহিত্যের কোনো খলনায়িকা আমার মনে দাগ কেটে থাকে, তবে সে নিঃসন্দেহে মুশকান জুবেরি। 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি'র শেষে মুশকান সুন্দরপুর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তিন তিনটে বছর কেটে যায়, ওদিকে ডিবির অফিসার নুরে ছফা এখনও তার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘোরে। এপার বাংলার মানুষ হিসেবে ওপার বাংলার পঁচিশে বৈশাখ উদযাপন দেখে মনটা বেশ ভাল হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাপ্রবাহ ঢাকা থেকে সুন্দরপুর হয়ে এবার কলকাতা পর্যন্তও বিস্তৃত হয়েছিল। ৩৬৬ পাতার এই থ্রিলারটির আগাগোড়াই রোমাঞ্চে মোড়ানো, plot এ অনেক twist আছে যা পাঠককে আটকে রাখে। যেহেতু থ্রিলার তাই এর বেশি বলে আর spoiler নাই বা দিলাম। মতান্তর থাকতেই পারে, তবে ব্যক্তিগত মত, পড়ে দেখতেই পারেন- 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি।'

আরো একটি রিভিউঃ
পুস্তক পরিচয়
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি 
লেখক – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
রেটিং – ৬.৫ / ১০

নামটাই এমন, প্রথম শুনেই ছিটকে উঠেছিলাম। এমন অবাক করা নাম, শুধু কি আকৃষ্ট করার জন্য, আদেও কি মশলা কিছু আছে। সত্যি কথা বলতে, প্রথমে আমি ভাবিনি এটা নিয়ে। কিন্তু কিন্তু কিন্ত... পড়ার পর সমস্ত ধারনা বদলে দিল।

বেশ অনেক দিন পর এমন একটা দমবন্ধ করা কন্টেন্ট পেয়ে আমি কিন্তু বেজায় খুশি হয়েছি।

পড়া শুরু করলে কিন্তু থামাটা একটু হলেও অসম্ভবের দরজায় ঠকঠক করে কড়া নাড়া দিতে পারে। 

তিনটি চরিত্র এই গল্পের পিলার।

নুরে ছফা, যে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হানা দেয় সুন্দরপুর অঞ্চলে। কিছু মানুষ হঠাৎ নিখোঁজ হতে শুরু করল সুন্দরপুরে। ডাক পড়ল তাই এই ব্যাক্তির। যদি সে কোন ভাবে খোঁজ করে রহস্যের কিনারা করে দিতে পারে।

আতর আলি , এক কথায় গল্পের কাণ্ডারি। শুরু থেকে খুব ভালো ভাবেই গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার নেন ইনি। কাকতালীয় ভাবে নুরে ছফার সাথে পরিচয়, আর টাকার পরিবর্তে তার ইনভেস্তিগেসন এ সাহায্য করা।

মুস্কান জাবেরি , রহস্যে বৃত্যের কেন্দ্রবিন্দু হল এই মহিলা। শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত গল্পের পাতায় ওনাকে অনেকবার দেখা যায় তবে সল্প সময়ের জন্য। ওনার সেই মত বিবরন না পাওয়ায় ওনার প্রতি টান, রহস্য, আকর্ষণ পাঠক কে দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতেও ফেলতে পারে। গল্পে উনি একটি রেস্টুরেন্ট এর মালকিন। 

আসল গপ্পে একটু আসি ?

মুলকেন্দ্রবিন্দু এই মুস্কান জাবেরির রেস্টুরেন্ট, যার নামে এই গল্পের নাম। আত সুস্বাদু রান্না ওখানে হয়। দূর দুরান্ত থেকে এখানে শুধু মাত্র খাওয়ার জন্যই আসে তারা। 

জট পাকলো একটা জায়গায়। 

কিছু মানুষ যারা নিরুদ্দেশ হয়েছে, তারা নাকি শেষবার এই রেস্টুরেন্ট এ এসেছে। নুরে ছফার অন্তত তাই বক্তব্য।

মদ্যা কথা হোল ওদের নিরুদ্দেশ আর মুস্কান এর রেস্টুরেন্ট, এদের মধ্যে কথাও সম্পর্ক আছে। 

ইনভেস্টিগেশন, রহস্য, ভয় , ভয়াবহতা আর দুরন্ত সাস্পেন্স সমস্তটা নিয়ে গল্প গতিময় ভাবেই এগাবে।

এই সব ঘটনাগুলো একে অপরের সাথে কিভাবে সংযুক্ত, আদেও কি এসব হছে।

পাঠকের কৌতূহল যেমন তৈরি হবে, তেমনি শেষে এসে পাঠক কে কিভাবে চুপ করিয়ে বসিয়ে দেওয়া যায়, যাতে সে ভাবতে শুরু করে, কি পড়ল এটা... হ্যা, তেমন ধাঁচের গল্প। 

একজন পাঠক হিসেবে রিভিউ দিলাম।

তারপরেও কিছু কথা থেকে যায়, যেটা বলাটা দরকার। 

গল্পের একটি বিশেষ ঘটনার সাথে “ স্যার এডগার আল্যান পো “ এর একটি ছোট গল্পের মিল পাই। আসল লেখার সাথে হুবহু মিল নেই, তবে ঐ ছোট্ট প্রেক্ষাপট কিন্তু অনেকটাই ঐ দিকে ঝুকে আছে। আসলে এডগার স্যারের গল্পটি আমি অনেক আগেই পড়েছিলাম, তাই হয়ত এমন মনে হয়েছে।

তবে এই বছরের জানুয়ারি মাসে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম, “ কচি পাঁঠার ঝোল “। যথেষ্ট ভাবে সব্বার অনেক ভালো রেস্পন্স পেয়েছিও। কিন্তু আমার গল্পটি অনেকটা এই গল্পের সাথে মিলে গিয়েছে কিছু স্থানে। অথচ এটা আমি হলফ করে বলতে পারি, “ আমি কখনই এই বই টা আগে পড়তে আসিনি “

ব্যাক্তিগত মতামতটা শেয়ার করি।

ছোটবেলা থেকে গল্পের পাহাড়ে চড়ে মানুষ হয়েছি। এর থেকে বহুগুনে তাবড় তাবড় লেখা পরে ফেলেছি। অনেক অনেক অনেক সুন্দর। দমবন্ধ করা পরিস্থিতি ওর কাছে জাস্ত একটা ছেলেখেলা। কিন্তু এখনও বুঝতে পারলাম না, গল্পটা নিয়ে এত হই হুল্লোড় কি জন্য ? হুজুগ ?

সৃজিত বাবু এই গল্প নিয়ে একটা ওয়েব সিরিজ বানিয়ে ফেলেছেন। আগামি মাসে রিলিজ হবে সব্বাই জানে। ট্রেলার দেখে মোটামুটি লাগল। বুঝলাম, একটা লেখা নিজ গুনে পাঠকের কাছে তার ভাবনায়, তার মস্তিস্কে নিজে থেকেই জায়গা করে নিতে পারে।

কিন্তু টিভির পর্দায় সেটা অনেকটা অতিরঞ্জিত করতেই হয়, প্লটের আবহাওয়া সঠিক করে বানাতে গেলে। এটাও মনে হোল, উনি অনেক জায়গায় নিজের মত গল্পকে ভেঙ্গেছেন, ডায়লগ তো পরিবর্তন করেছেনই। কিছু জায়গা একটু চোখে লেগেছিল আর কি।

আতর আলির চরিত্রে আমার অন্যতম পছন্দের মানুষ, অনির্বাণ বাবু কে দেখা যাবে। গল্পে ডায়লগ গুলো এমন জটিল উচ্ছারনে পূর্ণ, তাতে উনি খুব ভালভাবেই সেটা উপস্থাপন করবেন। তবে গল্প পড়ে ওনার ক্যারেক্তার কে মাঝারি উচ্চতার মনে হয়েছিল আমার, সেই দিক থেকে এখানে এটা একটা তালগাছ।

সাংবাদিক বা জার্নালিস্ট যেতাই হোক, রাহুল বাবু কে দারুন লাগবে আসা করছি। কিন্তু গল্পে যে জোশ আছে নুরে ছফার ডায়লগ থ্রু করার মধ্যে, এখানে নিরুপম চন্দ্রের গলায় সেটা মিসিং, আমার অন্তত তেমন লাগল। 
মুস্কান জাবেরির ভুমিকায় কিছু বলতে পারব না। আজমেরি ম্যাদাম কিন্তু আমার কাছে আকেবারেই নতুন। তাই এই ব্যাপারে ফুল স্টপ। তবে লম্বা লম্বা ডায়লগ ওনাকে দিয়ে না বলিয়ে ছোট্ট ছোট্ট অথচ ধারাল তীর ছাড়লে বেসি ভালো লাগত। 

এখন দেখার বিষয়, সৃজিত বাবু প্যান্ডেলের বাঁশ তো  দেখিয়ে দিলেন, এবার পুজর আগে পুর প্যান্ডেলটা ঠিক কততা সুন্দর হবে। সেটাই দেখার বিষয়। 

ও হ্যা, নুরে ছফা নাম এখানে পরিবর্তন করে কেন নিরুপম চন্দ্র করেছে, বাকি নামগুল কেন পরিবর্তন করেননি, এর জন্য জুতসই কারন খুঁজে পেলাম না।

রিভিউটি লিখেছেনঃ ꧁͜͡࿇͜͡ তমাল ঘোষ ͜͡࿇͜͡꧂

আরো একটি রিভিউঃ
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি

গল্পটা অনেক ছোটবেলায় পড়েছিলাম তাই details এ কিছু মনে নেই, overall যেটা মনে ছিলো সেটার সাথে এর বেশি অমিল পেলাম না। গল্পের বাঁধনি ঠিকঠাক লেগেছে, গানের প্রয়োগ যথাযথ। সবচেয়ে দুর্দান্ত যেটা লেগেছে সেটা কাস্টিং। সব জায়গায় পড়ছিলাম সবাই অনির্বাণ এর নাম করছে, তার রোল টা তেমন কিছু বড়ো বা প্রধান লাগেনি, অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য একজন দারুণ অভিনেতা তাই সেই রোলটা সফলতার সঙ্গে উৎরে দেওয়া ওনার কাছে নস্যি। প্রধান চরিত্রে থাকা আজমেরী হক বাঁধন এবং রাহুল বোস এর অভিনয় কুশলতা এই সিরিজের সবচেয়ে বড়ো পাওনা। রাহুল বোস এর অভিনয় আগেও দেখেছি, বর্তমানে বাংলা তথা ভারতে যে কজন চরিত্রাভিনেতা আছেন তার মধ্যে উনি উপরের সারিতে থাকবেন, এতেও দুর্দান্ত অভিনয় করলেন। তবে সিরিজটার সবথেকে বড় পাওনা আজমেরী হক বাঁধন , আমি প্রথমবার এনার অভিনয় দেখলাম , আর সত্যি বলতে ইনি মন জয় করে নিয়েছেন। মুস্কান জুবেরির রোলে আর কাওকে এতোটা মানাতো কিনা জানিনা(বাংলাদেশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নেই, তবে পশ্চিমবঙ্গে কাওকে মানাতো না এটা বলতে পারি)

আর অন্যান্য চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন যেমন অনির্বাণ চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত, রজত গাঙ্গুলি সহ প্রায় সব অভিনেতারই অভিনয় যথাযথ। অভিনয় এই সিরিজের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি বলে আমার মনে হয়েছে।

রিভিউটি লিখেছেনঃ মেসিপূজারি

আরো একটি রিভিউঃ
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি
আমার রেটিং ৭/১০
(প্রায় spoiler মুক্ত)
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার, কলকাতা আর ঢাকা বইমেলায় পরপর দুবছর বেস্টসেলার, বইটা রাত জেগে পড়ে আমার নিজের সারারাত ঘুম আসেনি ওই অবিশ্বাস্য ঘটনায় , এরকম বই নিয়ে সিরিজ হলে না দেখে থাকা যায়না।

তবে ওইযে, বই আগে পড়ে ফেলেছি, তাই বোধহয় একটু বেশি প্রত্যাশা নিয়েই দেখতে বসেছিলাম। বইটার সাথে তুলনা বারবার চলে আসলেও সেটা এড়িয়ে যাব, কারন বই আর সিরিজ দুটো পুরো আলাদা মাধ্যম, বইয়ের পাতায় যা লেখা যায়, যেভাবে পাগল করে দেওয়া যায় পাঠককে, পর্দায় অতটা হয়ত আসেনা।

 সে যাই হোক,সব মিলিয়ে তাহলে কেমন হল সিজিদ্দার REKKA ?

লোকেশন দেখলে মনে হচ্ছে বইয়ের পাতা থেকেই তুলে আনা। কাস্টিং যথাযথ, বিশেষ করে অনির্বাণ দা, তিনি তার মত করেই সেরা। আর আজমেরী হক বাঁধন, সেরা কাস্টিং এইটাই, সত্যি বলতে মুশকান এর রোল করা সহজ না, কিন্তু সেটা সুন্দর লাগল দেখে, চলাফেরা, তীক্ষ্ম কথাবার্তা আর ওই শীতল চাহনিতে রহস্যময়তা ফুটে উঠেছে শিহরণ জাগিয়ে।

শুধু একটাই প্রশ্ন, রাহুল বোস কি সবজায়গায় অত্ত ইংরেজি  আর অযথা mannerism না দেখলেই হতনা?

একই প্রশ্ন এডিটিং এর ক্ষেত্রেও! যেন বেশি তাড়াহুড়ো করে কিছু জায়গা বাদ দিয়ে দেওয়া হল, হঠাৎ করেই চলে গেল অন্য সিনে।

কিছু জায়গায় অকারনেই প্রচুর overacting, অযথা গালি, আজগুবি কিছু সিকোয়েন্স, আবার কোথাও অদ্ভুত স্লো স্ক্রিপ্ট, শুধু context এর জন্যে কিছু সিনে একরকম জোর করেই রবীন্দ্রসঙ্গীত ঢুকিয়ে দেওয়া, তার উপর বইটা আগে থেকে পড়া থাকলে সব তো এমনিই জানা,কোনো সাসপেন্স নেই। তাও, লাস্ট তিনটে এপিসোডে এসেই বাজিমাত হল।

সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দুটো জায়গা, আন্দিজ এর দুই মাস আর শেষে অগ্নিকাণ্ড, দেখানো হয়েছে যথাযথ ভাবে। 

আন্দি জ এর এপিসোডে আর তার পরের দুটো এপিসোডেই, বইটা প্রায় দুবার পড়া থাকা সত্ত্বেও সেই প্রথমবারের টেনশন আর থ্রিল আবার ফিরে আসতে বাধ্য।

সবাই বলেছিল, এইবারও সিজিদ্দা বোধহয় ছড়িয়ে ফেলবেন, কিন্তু না খুব একটা বেশি ঘেঁটে যায়নি তো বটেই,বরং সিরিজ হিসেবে যতটা সম্ভব তার অনেকটাই করে ফেলেছেন তিনি।

 Verdict : ভালো লেগেছে, না দেখলে মিস করবেন। বইটা না পড়লে এক্ষুনি দেখুন, আর পড়া থাকলেও দেখতে পারেন, খারাপ লাগবেনা কিন্তু। 
তাই, REKKA রেটিং 7/10, শেষটা এসে কিন্তু আগের সব আজেবাজে জিনিস পুষিয়ে গিয়েছে, গ্যারান্টি দিতে পারি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Metaplastic

রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি [2021] মুভির রিভিউঃ

প্রথমেই বলে রাখি, যদি গল্পটা [আমার এখনও পড়া হয় নি] এই একটা সিজনেই শেষ না হয়, তাহলে এই লেখাটা পুরো ইনভ্যালিড৷ এইবারে ভার্ডিক্ট : ৯টা এপিসোড থেকে নতুন কিছুই পাওয়ার নেই যা সৃজিত মুখার্জী আগে বানাননি৷ ক্যামেরা/এডিটিং শেষ কয়েক বছর সৃজিত ভালোই দিচ্ছেন, কিন্তু এই ন্যারেটিভে তাতে গল্পের কী লাভটা হল বুঝলাম না; আর হঠাৎ হঠাৎ ননলিনিয়ার, মাঝে মাঝে ফ্ল্যাশব্যাক দিয়ে ডিরেকশানটা কিন্তু সেই তাড়াহুড়োয় করা বলে মনে হচ্ছিল৷ অভিনয় কয়েকজনের ভালো হলেও কাস্টিং জুতের হয়নি বলে খাপে খাপ লাগেনি - আর কয়েকজনের তো শুধু অতিঅভিনয়/ম্যানারিজম৷ তাও গোয়েন্দা গল্পের পোকা বলে ক্লাইম্যাক্স পর্যন্ত ওয়েট করছিলাম, সেখানেও তো এনারা হেগেটেগে প্রেডিক্টেবল AF করে রেখেছেন.. অন্তত ট্রেলারে আর ফার্স্ট সীনে বিমান দুর্ঘটনার বিটটা না রাখলে ৭ নং এপিসোডে একটু মস্তি পাওয়া যেত৷

রিভিউটি লিখেছেনঃ পলতার বাবাই

Post a Comment

0 Comments