বইয়ের নাম - ক্রিমিনাল অমরেশ
লেখক - বিধায়ক ভট্টাচার্য
বইটি এখান থেকে পাইনি তবে এখানকার বই না হলেও রিভিউ দেওয়া যায় দেখে খুব ভালো লাগল তাই এই বইটিকে নিয়ে দু চার কলম লিখতে ইচ্ছে হলো।
শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক এবং নাট্যকার শ্রী বিধায়ক ভট্টাচার্য্যের লেখনীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম বাল্যকালে। আমার মায়ের সংগ্ৰহে ছিল সেকালের দেব সাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত শারদীয়া সংখ্যাগুলি। তার মধ্যে শ্রী ভট্টাচার্য্যের লেখা "অমরেশ" চরিত্রটিকে নিয়ে নাট্যরূপ গুলি পড়ে ভারি মজা পেতাম। বিগত কিছু বছর বইমেলায় খুঁজেছিলাম যদি সবকটি অমরেশের একত্রিত কোন সংকলন পাওয়া যায়। তবে বিধি বাম তাই স্বয়ং দেব সাহিত্য কুটিরের স্টলেও সন্ধান পাইনি আমার খোঁজের।
শ্রী ভট্টাচার্য্যের লেখনীর মধ্যে একটা মিশ্র অনুভব লাভ করেছি। অমরেশ চরিত্র টি একাধারে "ঘনাদা আর টেনিদার" সমাহার মনে হয় যেন।
বাক চাতুর্য, সবকিছুতে নিজেকে বিদ্বান জাহির করার হাস্যকর প্রচেষ্টা এবং সর্বোপরি শেষে পঙ্কে বদ্ধ হাতির মতো অবস্থা হওয়া মূলতঃ এই তিন ভাগেই বেশিরভাগ কাহিনীকে ভাগ করা যায়। অমরেশের নিজের ভাগ্নে একটাই, তার নাম অমিয়, এছাড়া অমিয়র কিছু বন্ধু বান্ধব আছে যথা গদাই, ভূবন, পতিত এদের সবারই কাছে তিনি মামা। একসময়ে নামী নাট্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি শখের দুয়েকটি থিয়েটার ছাড়া আর কিছু করেন না। স্ত্রী দীপা ছাড়া সংসারে আর কেউ নেই। নিঃসন্তান দম্পতির কাছে এই ভাগ্নের দলই সবকিছু।
বিভিন্ন কাহিনীর সময়রেখা ঠিকমতো সাজালে পরের পর বেশ ধারাবাহিকতাও দেখা যায়।
হয়ত বর্তমানে আরো মনোগ্ৰাহী রম্য নাটিকা সৃষ্টি হয়েছে, তবে বাল্যকালের পরিচয় বলেই হয়তো অমরেশের কাহিনী আজও নির্মল আনন্দ দান করে।
জানিনা, এই পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কতটা মন টানবে অপরাপর পাঠক পাঠিকাদের তবে অনুরোধ করবো পড়ে দেখতে পারেন। পুরনো দিনের সাদাকালো কিছু ছবি রঙিন করে নতুনভাবে দেখার মতো লাগলেও লাগতে পারে।
🙏 ধন্যবাদ।
লেখক - বিধায়ক ভট্টাচার্য
বইটি এখান থেকে পাইনি তবে এখানকার বই না হলেও রিভিউ দেওয়া যায় দেখে খুব ভালো লাগল তাই এই বইটিকে নিয়ে দু চার কলম লিখতে ইচ্ছে হলো।
শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক এবং নাট্যকার শ্রী বিধায়ক ভট্টাচার্য্যের লেখনীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম বাল্যকালে। আমার মায়ের সংগ্ৰহে ছিল সেকালের দেব সাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত শারদীয়া সংখ্যাগুলি। তার মধ্যে শ্রী ভট্টাচার্য্যের লেখা "অমরেশ" চরিত্রটিকে নিয়ে নাট্যরূপ গুলি পড়ে ভারি মজা পেতাম। বিগত কিছু বছর বইমেলায় খুঁজেছিলাম যদি সবকটি অমরেশের একত্রিত কোন সংকলন পাওয়া যায়। তবে বিধি বাম তাই স্বয়ং দেব সাহিত্য কুটিরের স্টলেও সন্ধান পাইনি আমার খোঁজের।
শ্রী ভট্টাচার্য্যের লেখনীর মধ্যে একটা মিশ্র অনুভব লাভ করেছি। অমরেশ চরিত্র টি একাধারে "ঘনাদা আর টেনিদার" সমাহার মনে হয় যেন।
বাক চাতুর্য, সবকিছুতে নিজেকে বিদ্বান জাহির করার হাস্যকর প্রচেষ্টা এবং সর্বোপরি শেষে পঙ্কে বদ্ধ হাতির মতো অবস্থা হওয়া মূলতঃ এই তিন ভাগেই বেশিরভাগ কাহিনীকে ভাগ করা যায়। অমরেশের নিজের ভাগ্নে একটাই, তার নাম অমিয়, এছাড়া অমিয়র কিছু বন্ধু বান্ধব আছে যথা গদাই, ভূবন, পতিত এদের সবারই কাছে তিনি মামা। একসময়ে নামী নাট্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি শখের দুয়েকটি থিয়েটার ছাড়া আর কিছু করেন না। স্ত্রী দীপা ছাড়া সংসারে আর কেউ নেই। নিঃসন্তান দম্পতির কাছে এই ভাগ্নের দলই সবকিছু।
বিভিন্ন কাহিনীর সময়রেখা ঠিকমতো সাজালে পরের পর বেশ ধারাবাহিকতাও দেখা যায়।
হয়ত বর্তমানে আরো মনোগ্ৰাহী রম্য নাটিকা সৃষ্টি হয়েছে, তবে বাল্যকালের পরিচয় বলেই হয়তো অমরেশের কাহিনী আজও নির্মল আনন্দ দান করে।
জানিনা, এই পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কতটা মন টানবে অপরাপর পাঠক পাঠিকাদের তবে অনুরোধ করবো পড়ে দেখতে পারেন। পুরনো দিনের সাদাকালো কিছু ছবি রঙিন করে নতুনভাবে দেখার মতো লাগলেও লাগতে পারে।
🙏 ধন্যবাদ।
0 Comments
আপনার মতামত লিখুন।